ফিলিস্তিনে রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের। ফিলিস্তিনের রামাল্লায় অবস্থিত ভারতীয় মিশন থেকে রোববার (৬ মার্চ) তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। ভারতীয় ওই রাষ্ট্রদূতের নাম মুকুল আর্য। সোমবার (৭ মার্চ) এক প্রতিদেনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। তবে মুকুল আর্যের মৃত্যুর কারণ এখনও স্পষ্ট নয়।
এদিকে রোববার রাতে সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম টুইটারে দেওয়া এক বার্তায় ফিলিস্তিনে নিযুক্ত ভারতীয় প্রতিনিধি মুকুল আর্যের মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
টুইটে শোক প্রকাশ করে তিনি জানান, ‘ফিলিস্তিনের রামাল্লায় ভারতীয় প্রতিনিধি মুকুল আর্যের মৃত্যুর খবরে অত্যন্ত বিস্মিত ও দুঃখিত। তিনি একজন দক্ষ কর্মকর্তা ছিলেন। তার সামনে উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছিল। তার পরিবার ও প্রিয়জনেদের প্রতি সমবেদনা।’
এদিকে মুকুল আর্যের আকস্মিক মৃত্যুতে ফিলিস্তিনের শীর্ষ নেতৃত্বও শোক প্রকাশ করেছেন। ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভারতের প্রতিনিধি মুকুল আর্যের আকস্মিক মৃত্যুতে তারা সকলেই বিস্মিত। মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘দুঃখজনক এই খবর পাওয়া মাত্রই প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস ও প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ স্তেহারের পক্ষ থেকে মুকুলের মৃত্যুর কারণ জানতে পুলিশ, নিরাপত্তা বাহিনী এবং স্বাস্থ্য ও ফরেনসিক সায়েন্সের কর্মীদের দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে নির্দেশ দেওয়া হয়।’
বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, এই কঠিন ও জরুরি পরিস্থিতিতে যা কিছু করা প্রয়োজন, তা করা হবে। সংশ্লিষ্ট সকলকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মুকুল আর্যের মরদেহ ফেরত পাঠানোর জন্য উভয় দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যোগাযোগ রাখছে বলেও জানানো হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিয়াদ-আল-মালিকি সরাসরি ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং মুকুলের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন। এছাড়া মুকুলের মরদেহ ফিরিয়ে নিয়ে যেতে ভারত সরকারকে সহযোগিতা করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে ইন্ডিয়ান ফরেন সার্ভিসের পরীক্ষায় পাশ করে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগ দেন মুকুল আর্য। তিনি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় ও জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতি নিয়ে পড়াশোনা করেছিলেন।ফিলিস্তিনে দায়িত্ব পালনের আগে তিনি কাবুল ও মস্কোর ভারতীয় দূতাবাসেও কাজ করেছিলেন। এছাড়া প্যারিসে ইউনেস্কোর স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবেও কাজ করেছিলেন মুকুল আর্য। এছাড়া নয়াদিল্লিতে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সদর দফতরে বেশ কিছু সময়ের জন্যও তিনি দায়িত্বপালন করেছিলেন।
ইবাংলা/ টিপি/ ৭ মার্চ, ২০২২