ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে ১০ মার্চ ২০২২ (বৃহস্পতিবার) বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জনাব এডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং প্রধান বক্তা হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জনাব আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষনকে আমাদের বুকে ধারণ করতে হবে। এ ভাষণটি কি অপূর্ব কি অকল্পনীয়! তা আমরা লক্ষ্য করলেই দেখতে পাই। ওই ভাষণে বঙ্গবন্ধু যে কৌশলের আশ্রয় নিয়েছিলেন। তিনি সরাসরি স্বাধীনতার ঘোষণা না দিয়ে পরোক্ষভাবে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন।
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম বলেন, স্বাধীনতার সত্তর বছর পরও বাংলাদেশে স্বাধীনতাবিরোধী কুচক্রীমহলের নির্দেশনায় দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চলছে। বর্তমান সময়ে বিএনপির কুচক্রিতে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধের ফলে দ্রব্যমূল্যের যে উর্ধ্বগতি তা নিয়ে রাজনীতি করার অপচেষ্টা করছে এই কুচক্রীমহল। এই কুচক্রীমহলকে সংঘবদ্ধভাবে রুখে দিতে হবে। ৭ই মার্চের ভাষন বিশ্বের কোন কিছুর সাথে তুলনা করা যায় না। কারণ এটি এমন এক ভাষণ যার মধ্যে দিয়েই বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতিকে অর্থনৈতিক মুক্তি, রাজনৈতিক মুক্তির সূচনা করেছিলেন।
আলোচনা সভায় সম্মানীত অতিথি হিসেবে ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক এবং ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মোঃ ইব্রাহীম ফরাজীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জনাব বি এম মোজম্মেল হক, আইন সম্পাদক জনাব কাজী নজিবুল্লাহ হিরু, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জনাব নজরুল ইসলাম বাবু এম পি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি জনাব আল নাহিয়ান খান জয় এবং সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক জনাব এস. এম. আকতার হোসাইন।
ইবাংলা/ টিপি/ ১০ মার্চ, ২০২২