ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলার মেঘনা, তিতাসসহ বিভিন্ন নদ-নদীতে কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলের কারণে প্রায় চার ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এ কারণে নাসিরনগরের হাওড়ে চলতি মৌসুমে প্রায় আট হাজার হেক্টর বোনা আমন, ১ হাজার হেক্টর পাটখেত ও মৌসুমি শাকসবজি তলিয়ে গেছে।
রোববার (১৯ জুন) বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে এই দৃশ্য দেখা যায়। এ ছাড়াও উপজেলার তিনটি কমিউনিটি ক্লিনিকে পানি ঢুকে পড়ায় স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত প্রায় ১০ হাজার মানুষ।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর নাসিরনগর উপজেলায় মোট ১০ হাজার ৭৫ হেক্টর আমন ধানের চাষ হয়েছে। এর মধ্যে ভলাকুটে এক হাজার হেক্টর, চাতলপাড়ে ৭৫ হেক্টর, কুন্ডায় ১২শ হেক্টর, নাসিরনগর ১ হাজার দুই শ, বুড়িশ্বর এক হাজার চার শ ৮০ হেক্টর, ধরমণ্ডল ১ হাজার হেক্টর ও ফান্দাউকে এক হাজার চার শ ১৫ হেক্টর।
বন্যার পানিতে ওই সকল এলাকার ২ হাজার হেক্টর বোনা আমন ধান পানির নিচে নিমজ্জিত হয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, উপজেলা অধিকাংশ জমিই পানির নিচে। তবে কৃষি অফিস বলছে ২ হাজার হেক্টর ধানি জমি পানির নিচে।
এদিকে অতি বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পানির কারণে সৃষ্ট বন্যায় বুড়িশ্বর ইউনিয়নের একটি ব্রিজ ভেঙে গেছে। যার কারণে কয়েকটি এলাকার বাসিন্দারা বিচ্ছিন্ন রয়েছে। তবে শনিবার (১৮ জুন) দিনগত রাতে ব্রিজটি বন্যার পানির চাপের কারণে ভেড়ে পড়ে। এতে চানপাড়ার সঙ্গে উপজেলা সদরসহ বুড়িশ্বর ইউনিয়নের যোগাযোগ সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু সাইদ তারেক বলেন, উজানের পানির কারণে সৃষ্ট বন্যায় নাসিরনগরের প্রায় ২ হাজার হেক্টর ধানি জমি পানির নিচে নিমজ্জিত হয়েছে। পানি কমে গেলে ধানের কোনো ক্ষতি হবে না।
নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোনাব্বার হোসেন বলেন, আমরা বন্যা মোকাবিলার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছি। আশা করছি কোনো মানুষই আমাদের সেবা থেকে বঞ্চিত হবে না।
ইবাংলা / জেএন / ১৯ জুন,২০২২