জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত দক্ষিণাঞ্চলের শিক্ষার্থীরা দাবি করেন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কুমিল্লা পর্যন্ত বাস রয়েছে। তাহলে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত কেন বাস দেয়া হবে না? এই রুটে বাস দিলে উপকৃত হবে দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলার শিক্ষার্থীরা।
দক্ষিণাঞ্চলের শিক্ষার্থীদের পক্ষে ২১ জুন (মঙ্গলবার) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে দেওয়া স্মারক লিপিতে উল্লেখ করা হয়, দক্ষিণবঙ্গের জেলা থেকে আমরা আপনার বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী আমাদের ক্যাম্পাস থেকে ফরিদপুর জেলা এতটাই নিকটবর্তী যে আমরা প্রতিদিন যাতায়াত করে ক্লাস পরীক্ষা দিতে পারবো।
ফরিদপুর পর্যন্ত বাস চাওয়ার প্রধান বাধা ছিল পদ্মা সেতু, আগামী ২৫ জুন তার দ্বার উন্মোচিত হচ্ছে। যদি বাস সার্ভিস চালু করা যায় তাহলে বসবাস অযোগ্য শহরে বাসা ভাড়া করে কষ্ট করে আমাদের থাকতে হবে না। সবার কথা চিন্তা করে বিষয়টি বিবেচনা করার দাবি করেন দক্ষিণবঙ্গের ২১টি জেলার শিক্ষার্থীরা।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড.মোঃ ইমদাদুল হক জানান,আমাদের শিক্ষার্থীদের উক্ত দাবিগুলো কমিটিতে উত্থাপন করা হবে। আমাদের দেখতে হবে গাড়ি, ড্রাইভার ও হেল্পার আছে কি না। বিষয়গুলো একটি প্রক্রিয়ার ভিতর দিয়ে যেতে হবে। আগে পদ্মা সেতু চালু হউক বিষয়টি বিবেচনায় রইলো।
স্মারক লিপি প্রদানকালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মিথুন বাড়ৈ বলেন, পদ্মা সেতু দক্ষিণবঙ্গ তথা বাংলাদেশের মানুষের অত্যন্ত আবেগ অনুভূতি ও মুক্তির স্বপ্ন! বঙ্গবন্ধুর তনয়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার কল্যাণে আগামী ২৫ জুন আমাদের আজন্ম লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়িত হচ্ছে। দক্ষিণাঞ্চলের ১৯ টি জেলার মিলিত স্থান “ভাঙ্গা মোড়!”
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভাঙ্গার দূরত্ব ৭০ কি.মি। ক্যাম্পাস থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত একটি বাস জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত দক্ষিণবঙ্গের প্রতিটি ছাত্র-ছাত্রীর আবেগ অনুভূতির যৌক্তিক ও সময়োপযোগী দাবি।এতে ১৯ জেলার শিক্ষার্থীরা পরম উপকৃত হবে। দাবি আদায়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ছোট ভাইবোনদের অংশগ্রহণ ও সহযোগিতা একান্তভাবে কাম্য।
জবির ১৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থী শেখ রানা আহমেদ জানান, ভাঙ্গা পর্যন্ত বাস চাওয়াটা আমাদের যৌক্তিক দাবি। সর্বোচ্চ দেড় ঘন্টার মধ্যেই আমরা ভাঙ্গা পৌঁছে যেতে পারবো। আর এতে পদ্মা পাড়ের শিক্ষার্থীরা বাড়িতে থেকেই ক্লাস-পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে।
ঢাকা শহরে অবস্থান করলে যে থাকা এবং খাওয়ার খরচ হয় সেটা বেঁচে যাবে। যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের জন্য কোন হল নাই এবং মেয়েদের জন্য মাত্র একটা হল, সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন আমাদের জন্য এতটুকু করতেই পারে। আমি আশা করবো, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন আমাদের এই যৌক্তিক দাবিকে আমলে নিয়ে ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা রুটে বাস দিবে।
১৬ তম ব্যাচ বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী অর্জুন বিশ্বাস বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মুকুট মণি দেশরত্ন প্রাণ প্রিয় শেখ হাসিনা দক্ষিণবঙ্গের মানুষের জীবন উন্নয়নের লক্ষ্যে মেগা প্রকল্প হিসেবে স্বপ্নের পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছেন।
আর তাই বর্তমানে জবি ক্যাম্পাস – পদ্মাসেতু – ভাঙ্গা রুটে বাস দেওয়া হলে আমরা দক্ষিণবঙ্গের ছাত্ররা নিজেদের পরিবারের সাথে থেকে প্রতিদিন ক্যাম্পাস এ যাতায়াতের মাধ্যমে ক্লাস করতে ও পরীক্ষা দিতে পারবো। এছাড়াও পদ্মা সেতুর সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে পারব।
ইবাংলা / জেএন / ২১ জুন,২০২২