জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মোঃ আবুল হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন হিসেবে দায়িত্বগ্রহণ নিয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।
শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড.আবুল কালাম মোঃ লুৎফর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিবাদ জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি বিভিন্ন পত্রিকায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতিকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টিকে পরিষ্কার করা প্রয়ােজন বলে সমিতি মনে করে। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনিক এবং একাডেমিক এ দুই ধরনের পদ রয়েছে।
প্রশাসনিক পদ বলতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন অর্থাৎ উপাচার্য মহােদয়ের এখতিয়ারভুক্ত পদসমূহ কে বােঝায়, যেমন হলের প্রভােষ্ট, প্রক্টর, সহকারী প্রক্টর, পরিচালক (ছাত্রকল্যাণ পরিবহন প্রশাসক, পরিচালক (গবেষণা) পরিচালক (আইটি) ইত্যাদি।
অন্যদিকে ডিন এবং চেয়ারম্যান পদসমুহ বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০০৫ অনুযায়ী সিনিওরিটির ভিত্তিতে নিয়ােগ দেয়া হয়। এগুলাে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক প্রদত্ত কোন পদ নয়। বিষয়টি খুবই পরিষ্কার। কাজেই প্রকাশিত সংবাদটি প্রকাশের পূর্বে সম্মানিত সাংবাদিকবৃন্দের এই বিষয়গুলাে বিস্তারিত জানার প্রয়ােজন ছিল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালন পদ্ধতি সম্পর্কে পরিষ্কার জ্ঞান না রেখে অসত্য তথ্য পরিবেশন করে একজন শিক্ষকের সম্মানহানি করা হয়েছে। আরো বলা হয়, যখন বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশকে বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রােল মডেল হিসেবে পরিণত করে শিক্ষার উন্নয়নের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
তখন এ ধরনের উদ্দেশ্যপ্রণােদিত সংবাদ প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালযয়ের শিক্ষককে হেয় করা বিশ্ববিদ্যালয় তথা দেশের বর্তমান অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করার শামিল। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি এ ধরনের ঘৃণ্য কাজের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে। ভবিষ্যতে সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে আরাে সতর্কতা অবলম্বন করার জন্য বলা হচ্ছে।
এছাড়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড.মোঃ আবুল হোসেন নিজ স্বাক্ষরিত আলাদা প্রেস বিজ্ঞপ্তিতেও এসব জানিয়েছেন।
ইবাংলা/জেএন/১৮জুলাই,২০২২