উন্মুক্তকরণ হলো উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্যঅপরিহার্য। চীন অধিকতর হারে ও উচ্চ স্তরের উন্মুক্তকরণ বজায় রাখবে। বিশ্ব অর্থনীতির পুনরুদ্ধারে চালিকাশক্তি যোগানোর লক্ষ্যে চীনের বৈশিষ্ট্যময় আধুনিকায়নের পথে অবিচল থেকে আরও উচ্চ মানের উন্মুক্ত অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গঠন করবে বেইজিং।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র চাও লি চিয়ান ২৯ নভেম্বর বেইজিংয়ে নিয়মিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে এসব কথা বলেন।
জানা গেছে, বিশ্ব ব্যাংকের সাবেক অর্থনীতিবিদ মুয়াঙ্গি ওয়াছিরা গণমাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, চীনের অর্থনীতি অব্যাহতভাবে বিশ্ব অর্থনীতির জন্য প্রাণশক্তি যোগাবে।
আরও পড়ুন…নোয়াখালী জিলা স্কুল থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে সাংবাদিক পুত্র শাওন
সাংবাদিকদের এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, গত ১০ বছর ধরে চীনের অর্থনীতির গড় প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৬.৬ শতাংশ, যা বিশ্ব অর্থনীতিতে গড়ে ৩০ শতাংশের বেশি অবদান রেখেছে। গত বছর চীনের জিডিপি’র পরিমাণ ছিল বিশ্ব অর্থনীতির পরিমাণের ১৮.৫ শতাংশ, এবং বৈদেশিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৬.৯ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার।
তিনি বলেন, চীন বর্তমানে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি এবং বৃহত্তম বাণিজ্যিক দেশ। দেশ-বিদেশের নানা কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখেও চীনের অর্থনীতি স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধি পেয়েছে এবং দীর্ঘকালীন স্থিতিশীলতার কোনো পরিবর্তন হয়নি। চীন বরাবরই বিশ্ব সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের প্রাণশক্তি ।
তিনি আরও বলেন, চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং এপেক নেতাদের ২৯তম অনানুষ্ঠানিক সম্মেলনে বলেছেন, ইতিহাস বারবার প্রমাণ করেছে যে উন্মুক্তকরণ ও সহনশীলতা, সহযোগিতা ও অভিন্ন অর্জন মানব জাতির সঠিক পথ। চীন বরাবরই উন্মুক্ত বিশ্ব অর্থনীতির উদ্যোক্তা এবং পরিচালক।
চীনা মুখপাত্র বলেন, বিশ্ব উন্নয়ন উদ্যোগ উত্থাপন করেছে চীন। বিভিন্ন দেশের অর্থনৈতিক বন্ধন জোরদার ও চীনের উন্নয়নের সুযোগ শেয়ার এবং জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন প্রক্রিয়া বাস্তবায়নে নিরলস প্রচেষ্টা চালাচ্ছে চীন। সূত্র: রুবি,সিএমজি।
ইবাংলা/জেএন/৩০নভেম্বর ২০২২
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.