কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের আটটি দানবাক্স খোলা হয়েছে। এ সময় ১২ বস্তা টাকা ছাড়াও স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া গেছে।
শনিবার (৬ নভেম্বর) সকাল ৯টার দিকে জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও মসজিদ কমিটির উপস্থিতিতে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থার মধ্যে এ বাক্সগুলো খোলা হয়।
জানা গেছে, এ আটটি সিন্দুক থেকে প্রায় ১২ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে। এখন চলছে টাকা গণনার কাজ। বস্তাগুলো থেকে টাকা ঢেলে মসজিদের দোতলায় চলছে গণনার কাজ। পাগলা মসজিদ ইসলামী কমপ্লেক্সের দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী ও স্থানীয় একটি ব্যাংকের কর্মকর্তারা টাকা গণনা করছেন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক গোলাম মোস্তফা জানান, সারা দিন গণনা শেষে বিকেলে নাগাদ টাকার পরিমাণ জানা যাবে। পাগলা মসজিদে দাম করলে মনের আশা পূরণ হয়, এমন বিশ্বাসে মুসলমান ছাড়াও অন্যান্য ধর্মের লোকজন এখানে দান করে থাকেন।
তিনি জানান, নগদ ১২ বস্তা টাকা ছাড়াও পাওয়া গেছে, চাল, ডাল গাবাদিপশু আর হাঁস-মুরগি। এ সময় পণ্য নিলামে বিক্রি করে জমা করা হবে মসজিদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে।
- পরবর্তীতে মসজিদের আয় থেকে নিজস্ব খরচ মিটিয়েও জেলার বিভিন্ন মসজিদ ও মাদ্রাসা এতিমখানাসহ গরিব ছাত্রদের মাঝে ব্যয় করা হয়।
জানা গেছে, ৫০ বছর আগে পাগলবেশী এক সাধু পুরুষ নরসুন্দা নদীর মাঝখানে পানিতে মাদুর পেতে আশ্রয় নেন। তার মৃত্যুর পর সমাধির পাশে এই মসজিদটি গড়ে ওঠে। পরে পাগলা মসজিদ নামে পরিচিতি এ মসজিদটি।
ইবাংলা/নাঈম/০৬ নভেম্বর, ২০২১