ঢাকার সঙ্গে ট্রেন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন
নিজস্ব প্রতিনিধি
বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে ঢাকা থেকে সারা দেশে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (২২ জুন) দিবাগত রাত ১২টার পর থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হচ্ছে।
তবে ঢাকাগামী যেসব ট্রেন পথিমধ্যে রয়েছে সেগুলো কমলাপুর স্টেশনে পৌঁছাবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত পরিচালক ( অপারেশন) সরদার শাহাদাত আলী।
শাহাদাত আলী আরও বলেন, তবে যেসব এলাকায় লকডাউন নেই, ট্রেন আগে থেকেই চালু আছে সেসব জায়গায় ট্রেন চলবে। এছাড়া পণ্যবাহী ট্রেন স্বাভাবিক থাকবে।
গতকাল সোমবার (২১ জুন) ঢাকার আশপাশের ৪ জেলাসহ ৭ জেলায় লকডাউন ঘোষণার পর প্রথমে বলা হয়েছিল শুধু লকডাউন ঘোষিত জেলাগুলোতে ট্রেন থামবে না, অন্য গন্তব্যে যথারীতি ট্রেন চলবে। সকালেও বলা হয়েছিল স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঢাকা থেকে ট্রেন চলবে। সে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করছে সরকার।
অপর দিকে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, আমরা আগের সিদ্ধান্ত সংশোধন করেছি। ঢাকার সঙ্গে দেশের অন্যান্য এলাকার যোগাযোগ থাকছে না। ঢাকা থেকে কোনও ট্রেন ছাড়বে না এবং ঢাকায় কোনও ট্রেন আসবে না।
তবে লকডাউনের আওতায় থাকা জেলাগুলো বাদে দেশের অন্যান্য এলাকায় ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক থাকবে। তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, যেমন- চট্টগ্রাম-চাঁদপুর, চট্টগ্রাম-ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম-সিলেট- এগুলো চলবে। শুধু ঢাকার সঙ্গে কোনও যোগাযোগ থাকবে না।
এর আগে সোমবার করোনার ভয়াবহ প্রকোপ থেকে রাজধানী ঢাকাকে সুরক্ষিত রাখতে তার পার্শ্ববর্তী সাত জেলায় লকডাউন ঘোষণা করে সরকার। জেলাগুলো হচ্ছে মানিকগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, গাজীপুর, মাদারীপুর, রাজবাড়ী এবং গোপালগঞ্জ।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গত ৫ এপ্রিল থেকে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। ওই সময় সরকার বিধিনিষেধ আরোপ করলে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
পরে যাত্রীবাহী ট্রেন পরিচালনা শুরু হয় গত ২৪ মে থেকে। ট্রেনের মোট আসনের ৫০ শতাংশ যাত্রী পরিবহন করার শর্তে যাত্রী পরিবহন অব্যাহত ছিল। সারাদেশে ২৮ জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন, ৯টি মেইল এক্সপ্রেস ও কমিউটার ট্রেন চলাচল শুরু হয় প্রথম দিকে।
পরে তা আরও বাড়ানো হয়। গত ৮ জুন টিকিট কাউন্টারে বিক্রি শুরু হয় নির্ধারিত ভ্রমনদিনের ৫ দিন আগে থেকে। তার আগে শুধু অনলাইনে টিকিট পাওয়া যেত।
বাংলাদেশ রেলওয়ের ৩৬২টি ট্রেনের মধ্যে স্বাভাবিক সময়ে ১০২টি আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করে থাকে। এছাড়া চলাচল করে ২৬০টি লোকাল, কমিউটার ট্রেন ও মালবাহী ট্রেন। পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল আগের মতো এবারও বন্ধ হচ্ছে না।