ড্রাই স্কিনের যত্ন

ফিচার ডেস্ক

ড্রাই স্কিন’ নিয়ে ঝামেলায় আছেন অনেকেই। এর সঠিক যত্ন নিয়ে ভাবনার শেষ নেই। ড্রাই স্কিনে মুলত ন্যাচারাল যে অয়েল (সেবাম) থাকে, সেটা কম প্রোডিউস হয়। ত্বক থেকে নিঃসৃত এই সেবাম ময়েশ্চারাইজারকে লক করে রাখে। যাদের স্কিনে ন্যাচারালি এই অয়েল কম থাকে, তাদেরই স্কিন ড্রাই ফিল হয়।

ড্রাই স্কিনের লক্ষণ
▶ স্কিন অনেকটা রাফ দেখায় কিংবা ইচিনেস থাকতে পারে
▶ সব সময়ই ত্বক শুষ্ক হয়ে থাকে
▶ স্কিনে প্যাচিনেস, সাদা সাদা ছোপ, ইরিটেশন এই ধরনের সমস্যা হতে পারে
▶ খুব দ্রুতই ত্বকে বয়সের ছাপ ও চোখের নিচে ফাইন লাইনস চলে আসে
▶ স্কিন অতিরিক্ত ড্রাই হয়ে গেলে চামড়া উঠে উঠে আসে এবং খসখসে লাগে
▶ মেছতার সমস্যা দেখা দিতে পারে। শুষ্ক ত্বকের যত্নে

১) ফেইস ওয়াশ ও স্ক্রাব নির্বাচন করা
শুষ্ক ত্বকের যত্নে এমন ফেইস ওয়াশ আপনাকে বেছে নিতে হবে,যাতে ময়েশ্চার প্রোপার্টিজ আছে, এবং যেটা ত্বককে ওভারড্রাই করবে না। ড্রাই স্কিনে খুব দ্রুতই ডেড সেলস জমে যায়, তাই সপ্তাহে ১/২ দিন স্কিন এক্সফোলিয়েট করুন। এমন স্ক্রাব নির্বাচন করতে হবে যেটা ত্বককে ড্রাই না করেই ডিপলি ক্লিন করবে। এক্ষেত্রে বেছে নিতে পারেন ক্যামিকাল এক্সফোলিয়েট ও।

২) ময়েশ্চারাইজার অ্যাপ্লাই করা
ড্রাই স্কিনে ময়েশ্চার সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার নিয়ে কোন হেলাফেলা করা যাবে না। এ ধরনের ত্বকের অধিকারীরা এক্ষেত্রে ক্রিম বেইজড থিক ময়েশ্চারাইজার সিলেক্ট করতে পারেন। অনেক ময়েশ্চারাইজার আছে যেগুলোর ফর্মুলা লাইট হলেও লং টাইম ধরে স্কিনের ময়েশ্চার লক করে রাখে। সেগুলোও ব্যবহার করতে পারেন। আপনার স্কিন যদি অতিরিক্ত ড্রাই হয়, সেক্ষেত্রে আপনার রেগুলার ময়েশ্চারাইজারের সাথে কয়েক ফোঁটা আর্গান অয়েল মিক্স করে নিন।

৩) ফেইস মাস্ক লাগানো
মধু ও ওটমিল দিয়ে তৈরি মাস্ক ড্রাই স্কিনের জন্য বেশ কার্যকরী। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, মধু প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসাবে কাজ করে। অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য থাকায় ত্বকের যত্নে নানান বেনিফিট আছে মধুর। ড্রাই স্কিনের যত্নে ওটমিল খুবই ভালো কাজ করে, কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আছে। ওটমিল পাউডার করে মধুর সাথে প্যাক বানিয়ে সেটা ফেইসে লাগিয়ে রাখুন। চাইলে দুধও এই মাস্কে মিক্স করা যেতে পারে, এতে স্কিন নারিশড ও সফট হবে। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলবেন।

৪) অ্যালোভেরা জেল দিয়ে ম্যসাজ
অ্যালোভেরাতে অ্যালার্জি না থাকলে অনায়াসে এটি স্কিন কেয়ার রুটিনে ইনক্লুড করা যায়। রাতে ঘুমানোর আগে অ্যালোভেরা জেল ফেইসে হালকা হাতে ম্যাসাজ করে ২০/২৫ মিনিট লাগিয়ে রাখুন, এরপর পানির ঝাপটা দিয়ে ধুয়ে নিন। ত্বক কোমল ও আর্দ্র থাকবে।

৫) অয়েল ম্যাসাজ
ড্রাই স্কিনের যত্নে ন্যাচারাল অয়েল বেশ কার্যকরী। এটা স্কিনকে ময়েশ্চারাইজড রাখে। এক্ষেত্রে জোজোবা অয়েল নিশ্চিন্তে ব্যবহার করতে পারেন। এটি ত্বকের ড্যামেজ রিপেয়ার করবে, ত্বককে উজ্জ্বল ও কোমল রাখবে। হাতের তালুতে সামান্য একটু তেল নিয়ে সার্কুলার মোশনে হালকা করে ম্যাসাজ করুন। সপ্তাহে ২/৩ বার করতে পারেন। জোজোবা অয়েল না থাকলে কয়েক ফোঁটা আর্গান অয়েল বা অ্যাভোকাডো অয়েলও ব্যবহার করতে পারেন।

ইবাংলা /টিপি/১৭ নভেম্বর

Contact Us