অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার আগে ও পরে খাবারের গুরুত্ব
তাসিন
মাতৃত্ব খুব সুন্দর একটি অনুভূতি। সন্তান হওয়ার পর একজন নারী মা হয়ে ওঠে। তখন তার জীবনটাই পাল্টে যায়। মা হওয়ার সময় একজন নারীকে নিতে হয়ে নানা প্রস্তুতি। পরিবার পরিকল্পনা থেকে চিকিৎসা, অনেক কিছুই পড়ে এই প্রস্তুতির মধ্যে। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় খাবারের পরিকল্পনা করা, যা অনেকেই এড়িয়ে যান। কিন্তু মাতৃত্বের আগে এবং অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পরেও খাবারের বিষয়ে কিছু নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন।
কী কী খাবার এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে?
ক) বিভিন্ন রঙের শাক-সবজি খান প্রচুর পরিমাণে। তবে ফ্রিজে রাখা সবজি এড়ানোই ভালো। বাজার থেকে এনে টাটকা টাটকা খান।
খ) সবজির সঙ্গে খান ফল। যদি ফল কেটে খেতে ইচ্ছে না করে তবে রস করে খেতে পারেন।
গ) বিনস, বাদাম বা ডালের মতো উদ্ভিদজাত প্রোটিন খান বেশি পরিমাণে। পাঁঠার মাংস এই সময়ে না খাওয়াই ভালো।
ঘ) চিজ বা ফ্রোজেন দইয়ের মতো লো ফ্যাটের দুগ্ধজাত পদার্থের বদলে খান হাই ফ্যাটের পদার্থ। যেমন দই বা বাড়িতে তৈরি আইসক্রিম।
ঙ) ফলিক অ্যাসিডের ওষুধ খান। এতে থাকে ভিটামিন বি, যা নতুন দেহ কোষ তৈরিতে সাহায্য করে।
কী কী খাবেন না?
ক) পিৎজা, চিপস, কেকের মতো ট্রানস ফ্যাট-যুক্ত খাবারগুলি খাবেন না এই সময়ে। এই ট্রানস ফ্যাট মহিলা ও পুরুষ উভয়ের জন্যই খারাপ। বিশেষ করে মাতৃত্বের সময়ে এটি একেবারেই খাওয়া উচিত না। কারণ তা মহিলাদের গর্ভধারণ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়।
খ) চিনি বা কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার এই সময়ে কম খেলেই ভালো। কারণ তা শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এর ফলে সন্তানধারণের সম্ভাবনা হ্রাস পায়।
গ) চা, কফি বা মদের মতো নেশার পানীয়ও এই সময়ে ত্যাগ করা উচিত। কারণ এগুলি দেহে জলের ঘাটতি তৈরি করতে পারে।
ইবাংলা / এইচ /২০ নভেম্বর, ২০২১