‘ফিজের’ সেই ভক্ত পুলিশী রিমান্ডে

ক্রীড়া প্রতিবেদক, ঢাকা

‘কাটার মাস্টার’ মুস্তাফিজুর রহমান কাণ্ডে ম্যাচ রেফারির রিপোর্টের ওপর নির্ভর করছে পাকিস্তান বনাম বাংলাদেশের মধ্যকার তৃতীয় ম্যাচটি। তবে এর আগেই মুস্তাফিজের সেই ভক্তকে ৫৪ ধারায় সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেফতার দেখিয়েছে পুলিশ। সেই একই ধারায় রাসেলকে আদালতেও চালান করা হবে, এবং তাকে আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতের কাছে রিমান্ড আবেদন করবে।

এদিকে মিরপুর মডেল থানার পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম জানান, সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেফতার দেখিয়েছে রাসেলকে। রোববার (২১ নভেম্বর) তাকে আদালতে নেয়া হবে। তাকে দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আমরা আদালতের কাছে রিমান্ডের জন্য আবেদন করব।

আরও পড়ুন: কাটার মাস্টারের পা ধরে সালাম করেন ভক্ত

এর আগে মিরপুর মডেল থানার টহল পরিদর্শক মোহাম্মদ মাহফুজুল হক বকশি বলেছিলেন, ‘আইনগতভাবে যেটি ঘটার সেটিই ঘটবে। আমরা প্রথম যে কাজটি করেছি, ঘটনার পরেই তাকে হেফাজতে নিয়ে নিয়েছি। আমাদের ডিসি স্যার ছিলেন, উনি সঙ্গে করেই থানায় নিয়ে গেছেন।’

শনিবার (২০ নভেম্বর) পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের মধ্যকার দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে বায়োবাবল ভেঙে রাসেল নামক মুস্তাফিজুর রহমানের এক ভক্ত মাঠে প্রবেশ করে। ঘটনাটি রীতিমতো জন্ম দিয়েছে সমালোচনার। অতিরিক্ত সতর্কতা হিসেবে ম্যাচ চলাকালীন মুস্তাফিজকে উঠিয়ে নেওয়া হয়। রোববার (২১ নভেম্বর) পুরো দলের করা হবে একদফা কোভিড পরীক্ষা। অনেক যদি কিন্তু নির্ভর করছে ম্যাচ রেফারির দেওয়া রিপোর্টের ওপর।

পাকিস্তানের ইনিংসের ১৩তম ওভার, নিজের চোখকেও যেন বিশ্বাস করতে পারছিল না মাঠ কিংবা টিভি সেটের সমানের দর্শকরা। অতি উৎসাহী ভক্তের কাণ্ডে হুমকির মুখে গোটা সিরিজ। কুমিল্লার জাকির হোসেনের ছেলে রাসেল। নিজেকে বলছেন ফিজের ভক্ত। নিরাপত্তা বলয় ছেদ করে পৌঁছে যান মুস্তফিজের কাছে। খেলা বন্ধ থাকে মিনিট পাঁচেক। তার সংস্পর্শে আশায় ফিজকে উঠিয়ে নেওয়া হয় তৎক্ষণাৎ।

রাসেলকে নিয়ে যাওয়া হয় মিরপুর মডেল থানায়। করা হয় জিজ্ঞাসাবাদ৷ পুরো ঘটনায় বিব্রত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। দেশের আইনে হবে বিচার, যাতে ভবিষ্যৎতে কেউ এমনটা করার সাহস না পায়।

ইবাংলা /টিআর /২১ নভেম্বর ২০২১

Contact Us