আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস আজ। জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কোর ডাকে এর সদস্য দেশগুলোয় প্রতিবছর এ দিবসটি উদ্যাপিত হয়। বাংলাদেশেও এ উপলক্ষ্যে আজ বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।
কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- আলোচনা অনুষ্ঠান, ক্রোড়পত্র প্রকাশ, টকশো-আলোচনা ইত্যাদি। এবারে দিবসটির প্রতিপাদ্য হচ্ছে, ‘ট্রান্সফর্মিং লিটারেসি লার্নিং স্পেসেস’ (সাক্ষরতা শেখার স্থান পরিবর্তন করা)।
আরও পড়ুন…তারেক কানেকশন : আওয়ামী লীগে ভর করে হাশেম রেজার অস্বাভাবিক উত্থান
আমরা আধুনিক ও বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থায় জোর দিয়েছি: প্রধানমন্ত্রী।দিবসটি উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন। বাণীতে বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শিক্ষা দর্শনের আলোকে
আওয়ামী লীগ সরকার শিক্ষাখাতকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে এর সার্বিক উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। আমাদের সরকারের বিগত সাড়ে ১৩ বছরে গৃহীত বিভিন্ন সময়োপযোগী কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ফলে শিক্ষা খাতে প্রশংসনীয়
আরও পড়ুন…কৌশলগত অংশীদারিত্বের উর্ধ্বে বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক
সাফল্য অর্জিত হয়েছে। শিক্ষার হার ২০০৭ সালের ৪৬.৬৬ শতাংশ হতে বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে ৭৪.৬৬ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সরকার শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যে ২০১০ শিক্ষাবর্ষ থেকে ২০২২ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত মোট ৪০০
কোটি ৫৪ লাখ ৬৭ হাজার ৯১১ কপি পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করেছে। বিনামূল্যে বই বিতরণের পাশপাশি বিভিন্ন ধরনের মেধাবৃত্তি, উপবৃত্তি দেওয়া হচ্ছে। উচ্চশিক্ষার সুবিধা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে দেশে সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা বহুলাংশে বাড়ানো হয়েছে।
আরও পড়ুন…শব্দ দূষণের ৭০ শতাংশের উৎসই যানবাহন
তিনি আরও বলেন, করোনাভাইরাসের প্রভাব কাটিয়ে শিক্ষার উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে আমরা প্রযুক্তিনির্ভর আধুনিক ও বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থার ওপর জোর দিয়েছি। আমরা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিভিত্তিক শিক্ষার গুরুত্ব বিবেচনা করে, বিশেষ
করে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব (৪ আর) মাথায় রেখে শিক্ষা ব্যবস্থাপনা এবং শিক্ষা কার্যক্রমে আইসিটি এবং ডিজিটাল প্রযুক্তির সুবিধা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি। এছাড়াও সব নিরক্ষরকে মৌলিক সাক্ষরতা জ্ঞান দেওয়ার ক্ষেত্রে আইসিটি বেইজড
আরও পড়ুন…আমরা মুসার চরের মানুষ আর কতদিন নদীর পানি খামো
জীবনব্যাপী শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কোভিড-১৯ মহামারির মধ্যে অনেক সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও অনলাইন, সংসদ টেলিভিশনসহ বিভিন্ন মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হয়েছে। শেখ হাসিনা বলেন, আমি আশা করি, সবার
ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় শতভাগ সাক্ষরতা অর্জন এবং শিক্ষার গুণগতমান ও অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষাব্যবস্থা নিশ্চিত করে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলার মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে জাতির পিতার স্বপ্নের উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণ করা
আরও পড়ুন…যুবককে হত্যা করে লাশ মাটিচাপা,বাবা-মা,ভাইসহ গ্রেফতার ৩
সম্ভব হবে।এদিকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে এ উপলক্ষ্যে সংবাদ সম্মেলন করেছে। এতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন জানান, ২০৩০ সালের মধ্যে শতভাগ সাক্ষরতা অর্জন করা হবে। এই সময়ের মধ্যে দেশ থেকে নিরক্ষরতা দূর করা হবে।
ইবাংলা/তরা/ ৮ সেপ্টেম্বর ২০২২