মমতার মুখ্যমন্ত্রিত্বের ভাগ্য নির্ধারণ হবে রোববার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :

পশ্চিমবঙ্গের দাপুটে নেত্রী মমতা ব্যানার্জির রাজনৈতিক ভাগ্য নির্ধারণ হবে রোববার (০৩ অক্টোবর)। পশ্চিমবঙ্গের ভবানীপুর, মুর্শিদাবাদ জেলার সামসেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুর বিধানসভা কেন্দ্র ভোট গ্রহণ শেষ। তিনটি কেন্দ্রের ভোটগণনা রোববার।

এবার গোটা বিধানসভা কেন্দ্র জুড়ে ৩৮টি পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছিল। সব বুথেই ছিল ওয়েব কাস্টিং ও সিসিটিভি ক্যামেরা। এছাড়াও নজরদারির জন্য ছিল কুইক রেসপন্স টিম, ফ্লাইং স্কোয়াড। যার অর্থ হাইপ্রোফাইল নির্বাচনে নিরাপত্তার দিক থেকে কোনো খামতিই রাখতে চায়নি নির্বাচন কমিশন।

গতকাল বৃহস্পতিবার করোনা থেকে সুরক্ষা পেতে স্বাস্থ্যবিধি ও কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে তিনটি কেন্দ্রে সকাল ৭টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে শেষ হয় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়। নির্বাচন কমিশন থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী বিকাল ৫টা পর্যন্ত ভবানীপুরে ভোট পড়ে ৫৩.৩২ শতাংশ, সামসেরগঞ্জে ৭৮.৬০ এবং জঙ্গিপুরে ৭৬.১২ শতাংশ।

তিনটি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নজর ছিল ভবানীপুর কেন্দ্রটির দিকেই। কারণ দক্ষিণ কলকাতার এই কেন্দ্র থেকেই এবার ভাগ্য নির্ধারিত হবে রাজ্যটির ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির। আর মুখ্যমন্ত্রীর গদি টিকিয়ে রাখতে হলে এই নির্বাচনে জেতাটা খুবই জরুরি। যদিও মমতার পক্ষে লড়াইটা খুব একটা সহজ নয় বলেই অভিমত রাজনৈতিক মহলের।

বুথফেরত ভোটারদের অভিমত ভবানীপুর কেন্দ্রে মমতার প্রতিদ্বন্দ্বী তিনি নিজেই। কারণ মমতার প্রতিপক্ষ হিসেবে যে দুই প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী আছে- বিজেপি প্রার্থী আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল ও সিপিআইএম’এর প্রার্থী শ্রীজীব বিশ্বাস, যিনিও পেশায় একজন আইনজীবী-তারা উভয়েই রাজনীতিকে অপেক্ষাকৃত নবাগত।

এদিন সকাল থেকেই ভবানীপুরের ৯৭টি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের ২৮৭টি বুথের প্রায় প্রতিটিতেই ভোটারদের লম্বা লাইন চোখে পড়ে। এরমধ্যে নতুন ভোটার যেমন ছিল, তেমনি ছিলেন ৯০ ঊর্ধ্ব ভোটারও। বিকাল ৩টা নাগাদ হরিশ মুখার্জি রোডের মিত্র ইনস্টিউশন স্কুলে ভোট দেন মমতা ব্যানার্জি। এরপর বেলা সাড়ে চারটা নাগাদ ওই বুথেই ভোট দেন তার ভাতিজা অভিষেক ব্যানার্জি।
ইই

ভাগ্যমমতারমুখ্যমন্ত্রিত্বের
Comments (0)
Add Comment