পুলিশের এসআই রাফির বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ

জয়পুরহাট প্রতিনিধি

জয়পুরহাটের কালাই থানা পুলিশের এসআই রাফি হাসানের বিরুদ্ধে ফেনসিডিল দিয়ে ছবি তুলে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। এর প্রতিবাদ করায় স্থানীয় এক ইউপি সদস্যকেও ফাঁসানোর হুমকি দিয়েছেন ওই এসআই। অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

জেলা পুলিশের দাবি চাঁদাবাজির অভিযোগে নয়, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার অনুমতি ছাড়া ডিউটি এলাকার বাহিরে যাওয়ার অভিযোগে তাকে বরখাস্ত করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।

শনিবার (১০ জুলাই) সন্ধ্যায় পাঁচবিবি উপজেলার আমির মোড় এলাকায় এসআই রাফি হাসান, মামুনুর রশিদ নামে একজনকে সঙ্গে নিয়ে একটি সিএনজি অটোরিকশা আটকায়। অটোরিকশায় চারজন যাত্রী ছিলেন। অভিযুক্ত রাফি হাসান তিন যাত্রীকে চলে যেতে বলেন। এক যাত্রীর হাতে ফেনসিডিল দিয়ে ছবি তোলে এক লাখ টাকা দাবি করেন। ওই যাত্রী তাৎক্ষণিক বিকাশের মাধ্যমে ১০ হাজার টাকা দেন।

ঘটনাটি জানতে পেরে স্থানীয় ইউপি সদস্য আমিনুর ইসলাম আমুসহ বেশ কয়েকজন ব্যক্তি ঘটনাস্থলে পৌঁছে এ ঘটনার প্রতিবাদ করেন। এ সময় অভিযুক্ত এসআই তাদেরও ছবি তুলে মাদকের মামলা দেওয়ার হুমকি দেয়। পরে তারা পাঁচবিবি থানায় ফোন দিলে ঘটনাস্থলে এসে এসআই রাফি, তার সহযোগী এবং আমদই ইউনাইটেড ডিগ্রী কলেজের অফিস সহকারী মামুনকে নিয়ে যায়।

স্থানীয়দের অভিযোগ, এসআই রাফি হাসান মাদকাসক্ত। প্রায়ই ওই রাস্তা দিয়ে দিনাজপুরের হিলিতে যেতেন ফেনসিডিল সেবনের জন্য। একজন আইন প্রয়োগকারী সদস্যের এমন কর্মকান্ডে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবী করেছেন স্থানীয় সচেতন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিও।

ওই এসআইকে বরখাস্ত করা হলেও জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, উর্ধ্বতন কর্মকর্তার অনুমতি ছাড়া ডিউটি এলাবার বাহিরে যাওয়ার অভিযোগে তাকে বরখাস্ত করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। সেই সাথে একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে।

কমিটির রিপোর্ট পাওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান জয়পুরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম। অভিযুক্ত পুলিশের এসআই রাফি হাসান গত এক বছর পূর্বে জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল থানা থেকে বদলী হয়ে কালাই থানায় যোগদান করেছিলেন।

ই-বাংলা/ আইএফ/ ১২ জুলাই, ২০২১

Contact Us