উপবৃত্তি ও করোনাকালে অনুদান প্রদানের নামে প্রতারণার দায়ে প্রতারক চক্রের অন্যতমহোতা ফিরোজ কবীরকে (২০) গ্রেফতার করেছে সিআইডি। রংপুরের পীরগঞ্জ থানা এলাকা হতে গ্রেফতার করা হয়।
বুধবার (২৯ জুন) বেলা ১২ টায় মালিবাগে সিআইডির হেডকোয়ার্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে সরকারি বিভিন্ন বিভাগের বিশেষত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা পরিচয়ে মোবাইলে আর্থিক লেনদেনের প্লাটফর্ম ব্যবহার করে প্রতারণার ঘটনা সংঘঠনের সংবাদ পাওয়া যাচ্ছিল। উচ্চ পদস্থ সরকারি কর্মকর্তাদের পরিচয়ে অভিনব কায়দায় প্রতারণার বিষয়গুলো বিভিন্ন সময় দেশজুড়ে বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি। এই প্রতারণার সাথে জড়িত চক্র সনাক্ত ও তাদের কর্মপদ্ধতি সম্পর্কে অনুসন্ধান করে আসছে সিআইডির। এরই ধারাবাহিকতায় একাধিক প্রতারণা চক্র সনাক্ত করা সম্ভব হয়।
মুক্তা ধর বলেন, ভিক্টিম ও বিভিন্ন উৎস হতে প্রতারক চক্র সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য সরেজমিনে সংগ্রহ করা হয়। পরবর্তীতে সংগৃহীত বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় মো ফিরোজ কবীরকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে মুক্তা ধর বলেন, গ্রেফতারকৃত আসামী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। তিনি জানায় তার নেতৃত্বে ৩/৪ সদস্যের একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র মোবাইলে আর্থিক লেনদেনের প্লাটফর্ম ব্যবহার করে নিজেদেরকে উচ্চ পদস্থ সরকারি কর্মকর্তা পরিচয়ে প্রতারণা করে আসছিল। চক্রের সকল সদস্যের সম্মিলিত প্রয়াসে ‘শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা’ পরিচয়ে প্রতারণার কাজটি তারা অত্যন্ত সুনিপুনভাবে করে থাকে। ভিক্টিমের নিকট হতে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহের পর পরই তারা তাদের ব্যবহৃত সকল আইডেন্টিটি গোপন করে রাখে।
তিনি বলেন, এই চক্রের সদস্য প্রথমে বিকাশের দোকান থেকে নাম্বার সংগ্রহ কবে। এরপর উপবৃত্তির কথা বলে ফোনে মেসেজ পাঠান। মেসেজে পেয়ে ভুক্তভোগীরা যোগাযোগ করলে নানা কৌশলে বিকাশের পিন্ট নাম্বর নিয়ে টাকা উত্তলন করে।
ইবাংলা / জেএন / ২৯ জুন,২০২২